Translate

Wikipedia

Search results

Powered by Blogger.

Sunday, 15 May 2016

কোন কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হয় ?

কোন কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হয় ?
সাব রেজিস্ট্রার : বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।যেমন :
বিক্রয় দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে।
জমি ক্রয় করার পূর্বে বায়না দলিল সম্পাদন করলে তা ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। রেজিস্ট্রি ছাড়া বায়না দলিলের আইনগত মূল্য নেই।
বায়না চুক্তি প্রবলের জন্য ফৌজদারি আদালতে প্রতারণার অভিযোগ এনে দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা করা যায়।
বায়না দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে বিক্রয় দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করতে হবে।
হেবা বা দানকৃত সম্পত্তির দলিলও রেজিস্ট্রি করতে হবে।
বন্ধককৃত জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে।
কোন ভূমি সম্পত্তি মালিকের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বাটোয়ারা করা এবং উক্ত বাটোয়ারা বা আপোষ বণ্টন নামা রেজিস্ট্রি করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয় ?
সাব রেজিস্ট্রার : রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়।
জমি রেজিস্ট্রি করতে বিক্রিত জমির পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ থাকতে হবে।
দলিলে দাতা-গ্রহীতার পিতা-মাতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সাম্প্রতিক ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
যিনি জমি বিক্রয় করবেন তার নামে অবশ্যই নামজারী (মিউটেশন) থাকতে হবে (উত্তরাধিকার ছাড়া)।
বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির ধারাবাহিক ইতিহাস লেখা থাকতে হবে।
সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য, সম্পত্তির চারদিকের সীমানা, নকশা দলিলে থাকতে হবে।
দাতা কর্তৃক বিক্রিত সম্পত্তি অন্য কারো কাছে বিক্রি করেনি মর্মে হলফনামা থাকতে হবে।
জমির পর্চাসমূহে (সি.এস, এস. এ, আর.এস) মালিকানার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
বায়া দলিল (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) থাকতে হবে।
বিভিন্ন প্রকার দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি পরিমাণ ফিসের প্রয়োজন হয় ?
সাব রেজিস্ট্রার : দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় রেজিস্ট্রেশন আইন,স্ট্যাম্প আইন, আয়কর আইন, অর্থ আইন ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিধি এবং পরিপত্রের আলোকে। সকল দলিলের রেজিস্ট্রি ফিস সমান নয়। সরকার বিভিন্ন সময় সমসাময়িক বিবেচনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রি ফিস নির্ধারণ করে থাকেন।
কর দেয়ার ক্ষেত্রে কি নিয়ম ?
সাব রেজিস্ট্রার : ভ্যাট ও উৎস কর সব সময়ই জমির বিক্রেতা প্রদান করবে। আয়কর আইন মতে, এই দুই ----ধরণের কর বিক্রেতার আয়ের ওপর ধার্য হয়। এই কর বিক্রেতার নামে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। উৎস কর ও ভ্যাট ছাড়া অন্যান্য সকল ধরণের কর জমির ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হবে।

Read more...

Saturday, 14 May 2016

নামজারি কীভাবে করবেন

নামজারি কীভাবে করবেনঃ
কোনো কারণে জমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করানোকে বলে মিউটেশন বা নামজারি। উত্তরাধিকারসূত্রে, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে জমির মালিকানা বদল হয়। কিন্তু জমির নামজারি না করানো হলে মালিকানা দাবি করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। জমি রেজিস্ট্রেশন, জমি ক্রয়-বিক্রয়, খাজনা প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় নামজারি। জমি হস্তান্তর হওয়ার পর নামজারি করা অনেকটাই বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কোথায় করা হয় নামজারিঃ
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন সহকারী পদের একজন দায়িত্বে থাকেন। নাজির পদের একজন নামজারির জন্য ফি জমা নেন। তহশিলদারেরা (সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা) নামজারির তদন্তের দায়িত্বে থাকেন। কোনো আবেদন করা হলে এ নামজারি করা জমির ওপর তদন্ত করার নিয়ম আছে। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তহশিলদারের অফিসে নামজারি আবেদন করে থাকেন। এটা ঠিক নয়।


কীভাবে আবেদন করতে হয়ঃ
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। এতে নির্ধারিত জায়গায় জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে। একই সঙ্গে মূল দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি, ভূ-উন্নয়ন কর পরিশোধের দলিল, ওয়ারিশান সনদপত্র (তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা), বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে। কোনো রায় বা ডিক্রির কারণে নামজারি করতে হলে ডিক্রি বা রায়ের অনুলিপি জমা দিতে হবে। আবেদনকারী নিজেও আবেদন করতে পারেন অথবা আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করেও আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীর প্রতিনিধির পাসপোর্ট আকারের ছবি সংযুক্ত করে দিতে হবে আবেদনের নির্ধারিত জায়গায়। খেয়াল রাখতে হবে নামজারি করাতে গিয়ে কোনো দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম করা হয়েছে।


নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হলে কী করবেনঃ
যেকোনো কারণেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হতে পারে। কোনো দলিল-দস্তাবেজে ত্রুটির কারণে হতে পারে, আবার অন্য কোনো উদ্দেশ্যেও নামঞ্জুর হতে পারে। কিন্তু আবেদন নামঞ্জুর হলে প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। নামজারি নামঞ্জুর হলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) কাছে এবং তা করতে হয় আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি আপিল বোর্ডে আদেশের ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করা যায়। এ ছাড়া রিভিশনের পথও খোলা রয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর নিজের ইচ্ছায় নথি তলব করে সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া রিভিউর পথও খোলা আছে। রিভিউ মানে হচ্ছে পুনর্বিবেচনা করা। দলিলপত্রে কোনো ভুল পর্যবেক্ষণ হয়েছে বলে মনে করলে কিংবা আবেদন বাতিল করলে রিভিউর আবেদন করতে হয়। যে কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছেন, তাঁর বরাবরই রিভিউ করতে হবে। রিভিউ করতে হয় ৩০ দিনের মধ্যে। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আর আপিল করা যায় না।

Read more...

সম্পত্তির কত অংশ উইল করা যায়

সম্পত্তির কত অংশ উইল করা যায়ঃ
কোনো মুসলমান তার দাফন-কাফন ব্যয় ও দেনা পরিশোধের পর, উদ্বৃত্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের অধিক উইলমূলে হস্তান্তর করতে পারে না। উইলকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীরা সম্মতি না দিলে উইলের মাধ্যমে বৈধ এক-তৃতীয়াংশের অধিক পরিমাণ সম্পত্তি দান কার্যকর হবে না।
পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়নি এমন ব্যক্তির ব্যাপারে উইল : নিম্নলিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত এখনো ভূমিষ্ঠ হয়নি এমন ব্যক্তির বরাবরে উইল বাতিল বলে গণ্য হবে।
(ক) যে ক্ষেত্রে যার বরাবরে উইল করা হয়, সে একটি ঋণ মাত্র এবং উইল করার ছয় মাসের মধ্যে ভূমিষ্ঠ হয়, অথবা
(খ) যে ক্ষেত্রে উইলগ্রহণকারীরা কোনো বিশেষ ব্যক্তির অনির্ধারিত ছেলেমেয়ে এবং তার উইলকৃত সম্পদ মৃত্যুর সময় বিদ্যমান থাকে। উইল করার সময় বিদ্যমান নেই, কিন্তু উইলকারী ব্যক্তির বরাবরে উইল বৈধ।

Read more...

Friday, 13 May 2016

set off (সেট অফ) কী

সেট অফ(set off) কী?
সেট অফ বলতে বুঝি কোন দাবীর বিরুদ্ধে উপস্থাপিত আরেকটি দাবী। এটা সাধারণত মূল দাবীদার বিরুদ্ধে দাড় করানো হয়। যখন কোন বাদী কারও বিরুদ্ধে কোন টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য মামলা করে বিবাদী যদি বাদীর বিরুদ্ধে অনুরুপ টাকা প্রাপ্তির কোন দাবী উত্থাপন করে তাহলে বিবাদীর এই দাবীর টাকা বাদীর দাবীর বিরুদ্ধে set off করতে পারে । উদাহরণঃ  x , y এর বিরুদ্ধে 1000000/ টাকা ক্ষতিপূরনের মামলা করলে yও x এর বিরুদ্ধে 15000/টাকা পেত দাবি করে জবাব দেয়।
শর্তাবলীঃদেওয়ানী কার্যবিধির ৮নং আদেশের ৬নং বিধি অনুযায়ী দাবী সমন্বয় এর ক্ষেত্রে নিম্মলিখিত শর্তগুলো পূরন করতে হবে:
১) বাদীর নিকট থেকে বিবাদীর প্রাপ্য বাবদ যে টাকা সেট অফের মাধ্যমে দাবী করা হয় তা অবশ্যই নির্ধারিত হবে।
২) মামলাটি অবশ্যই টাকা আদায়ের মামলা হবে।
৩) বিবাদীর প্রাপ্য আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের সীমার মধ্যে হতে হবে।
৪) বাদীর নিকট বিবাদীর প্রাপ্য আইনত আদায়যোগ্য হতে হবে।
৫) মামলার প্রথম শুনানির সময়েই সেট অফের দাবী করতে হবে , যদি না আদালত কর্তৃক পরে করার অনুমতি দেওয়া হয়।

Read more...

Thursday, 12 May 2016

পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩

সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রনীত আইন
 
যেহেতু সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ—
  
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন 
১। (১) এই আইন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
  
  
 
সংজ্ঞা 
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে—

(ক) “পিতা” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি সন্তানের জনক;

(খ) “ভরণ-পোষণ” অর্থ খাওয়া-দাওয়া, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বসবাসের সুবিধা এবং সঙ্গ প্রদান;

(গ) “মাতা” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি সন্তানের গর্ভধারিণী;

(ঘ) “সন্তান” অর্থ পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সক্ষম ও সামর্থ্যবান পুত্র বা কন্যা;
  
  
 
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ 
৩। (১) প্রত্যেক সন্তানকে তাহার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে।

(২) কোন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেইক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবে।

(৩) এই ধারার অধীন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করিতে হইবে।

(৪) কোন সন্তান তাহার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না।

(৫) প্রত্যেক সন্তান তাহার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করিবে।

(৬) পিতা বা মাতা কিংবা উভয়, সন্তান হইতে পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের সহিত সাক্ষাত করিতে হইবে।

(৭) কোন পিতা বা মাতা কিংবা উভয়ে, সন্তানদের সহিত বসবাস না করিয়া পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত পিতা বা মাতার প্রত্যেক সন্তান তাহার দৈনন্দিন আয়-রোজগার, বা ক্ষেত্রমত, মাসিক আয় বা বাৎসরিক আয় হইতে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ পিতা বা মাতা, বা ক্ষেত্রমত, উভয়কে নিয়মিত প্রদান করিবে।
  
  
 
পিতা-মাতার অবর্তমানে দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভরণ-পোষণ 
৪। প্রত্যেক সন্তান তাহার—

(ক) পিতার অবর্তমানে দাদা-দাদীকে; এবং

(খ) মাতার অবর্তমানে নানা-নানীকে—

ধারা ৩ এ বর্ণিত ভরণ-পোষণ প্রদানে বাধ্য থাকিবে এবং এই ভরণ পোষণ পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ হিসাবে গণ্য হইবে।
  
  
 
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করিবার দণ্ড 
৫। (১) কোন সন্তান কর্তৃক ধারা ৩ এর যে কোন উপ-ধারার বিধান কিংবা ধারা ৪ এর বিধান লংঘন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে; বা উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

(২) কোন সন্তানের স্ত্রী, বা ক্ষেত্রমত, স্বামী কিংবা পুত্র-কন্যা বা অন্য কোন নিকট আত্নীয় ব্যক্তি—

(ক) পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর ভরণ-পোষণ প্রদানে বাধা প্রদান করিলে; বা

(খ) পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর ভরণ-পোষণ প্রদানে অসহযোগিতা করিলে—

তিনি উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিয়াছে গণ্যে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
  
  
 
অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা 
৬। এই আইনের অধীন অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) ও আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।
  
  
 
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার 
৭। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ ১ম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারযোগ্য হইবে।

(২) কোন আদালত এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সন্তানের পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত আমলে গ্রহণ করিবে না।
  
  
 
আপোষ-নিষ্পত্তি 
৮। (১) আদালত এই আইনের অধীন প্রাপ্ত অভিযোগ আপোষ-নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার, কিংবা ক্ষেত্রমত, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর, কিংবা অন্য যে কোন উপযুক্ত ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অভিযোগ আপোষ-নিষ্পত্তির জন্য প্রেরিত হইলে, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, মেয়র, মেম্বার বা কাউন্সিলর উভয় পক্ষকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া, উহা নিষ্পত্তি করিবে এবং এইরূপে নিষ্পত্তিকৃত অভিযোগ উপযুক্ত আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত বলিয়া গণ্য হইবে।
  
  
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 
৯। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

Read more...

ওয়াকফ কি

ওয়াকফ কিঃ
কোন মুসলমান কর্তৃক ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করাকে বুঝায়। তবে কোন অমুসলিমও একই সম্পত্তি একই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে পারেন।
ওয়াকফ দুই প্রকার: ১) ওয়াকফ লিল্লাহ ও ২) ওয়াক্ফ আল-আওলাদ
যে সব উদ্দেশ্যে ওয়াকফ করা যায়:
মক্কা শরীফের হাজীদের জন্য বোরাত বা বোডিং হাইজ নির্মাণ, ঈদগাহ নির্মাণ, মাদ্রাসা, খানকা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যয় নির্বাহ, হজ্জ পালনে সাহায্য করা, গরীবদের সাহায্য করা। ওয়াকিফ ও তার বংশধর ভরন পোষণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সম্পত্তি উৎসর্গ করা যায়।
ওয়াকফের শর্তাবলী:
• ওয়াকিফকে অবশ্যই সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী ও
সাবালক হতে হবে।
• ওয়াকফের উদ্দেশ্যে যে সম্পত্তি উৎসর্গ করা
হবে তা অবশ্যই চিরস্থায়ীভাবে উৎসর্গ করতে
হবে।
• ওয়াকফের উদ্দেশ্যে অবশ্যই মুসলিম আইন
অনুযায়ী ধর্মীয় বা দাতব্য প্রকৃতির হতে হবে।
• স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উভয়ই বৈধ ওয়াকফের
বিষয়বস্তু হতে পারে।
• ওয়াকিফ যে সম্পত্তি উৎসর্গ করবেন অবশ্যই তা
বৈধ মালিকানার হতে হবে।
• ওয়াকফটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তা হস্তান্তর অযোগ্য
হয়ে যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে
মোতাওয়াল্লী আদালত বা ওয়াকফ প্রশাসকের
অনুমতিক্রমে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
অমুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক ওয়াকফ:
অমুসলিম ব্যক্তিও ওয়াকফ করতে পারবেন। কিন্তু তা
ওয়াকফ সৃস্টিকারী ব্যক্তির ধর্ম অনুসারে বৈধ বা
আইনসঙ্গত হতে হবে।এক্ষেত্রে
উৎসর্গকারীকে অবশ্যই ইসলামের মূলনীতিতে
বিশ্বাস থাকতে হবে।কিন্তু তাকে অবশ্যই মুসলিম
হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
ওয়াকফ প্রশাসক: সরকার ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৭ ধারা অনুসারে ওয়াকফ প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন কওে থাকেন।
ওয়াকফ প্রশাসক এর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
১। ওয়াকফ প্রশাসক ওয়াকফ ও এর তহবিল পরিচালনার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন কানে। তিনি এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পারন করেন। (ধারা- ১৯, ২০)
২। প্রশাসক সরকারের অনুমতিক্রমে এবং ওয়াক্ফ এর কল্যাণে/ উন্নতিকল্পে ওয়াক্ফকৃত সম্পত্তি হস্থান্তর করতে পারে।(ধারা-৩৩)
৩। প্রশাসক উপযুক্ত কারন সাপেক্ষে মোতায়াল্লীকে অপসারন করতে পারেন।(ধারা-৩২)
৪। প্রশাসক তার প্রতিনিধির মাধ্যমে বা জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। (বাস্তব্যে জেলা প্রশাসকই ওয়াক্ফ প্রশাসকের পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।(ধারা- ৩৪, ৩৬)
৫। ওয়াক্ফ প্রশাসকের কোন আদেশে কেউ সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি জেলা জজের আদালতে আপিল করতে পারেন। (ধারা- ৩৫)
মোতায়াল্লী নিয়োগ:
ওয়াক্ফ পরিচালার জন্য গঠিত কমিটির সদস্য সচিবের বা ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় যিনি থাকেন তাকেই বলে মোতায়াল্লি। মোতায়াল্লি সাবালক ও মানসিকভাকে সুস্থ হবেন।
মোতায়াল্লী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিম্নরুপ:
ওয়াকিফ নিজে মোতাল্লী হতে পারেন।ওয়াকিফ সম্পত্তির সুবিধাভোগী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক মোননীত হতে পারেন।
ওয়াকিফের মৃত্যুকালীন ঘোষণা দ্বারাও কোন ব্যক্তি মোতায়াল্লী হতে পারেন।
আধ্যাত্মিক কার্যক্রম না থাকলে মাহিলাও মোতায়াল্লী নিযুক্তি হতে পারবেন।
প্রশাসক মোতায়াল্লী নিয়োগ করতে পারেন।
ওয়াকফ প্রত্যাহার : উইলের মাধ্যমে ওয়াক্ফ সৃষ্টি হয়ে থাকলে ওয়াকিফ তার মৃত্যুর পূর্বে যে কোন সময় তা প্রত্যাহর করতে পারেন। তবে ইউল ব্যতিত অন্য কোন ক্ষেত্রে ওয়াক্ফি ওয়াক্ফ সম্পত্তি প্রত্যাহার করতে পারেন না।
ওয়াকফ করা বাধ্যতামূলক: মোহামেডনস ল অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে ঈদগাহ, কবরস্থান, ইমামবাড়ী, মাদ্রাসা ও মসজিদের জন্য জমি দান করলে তা অবশ্যই ওয়াক্ফ করতে হবে। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন মন্দিরের দেবতার উদ্দেশ্যে পূর্ণ অর্জনের লক্ষে যে সম্পত্তি উঃসর্গ করে তাকে দেবোত্তর সম্পত্তি। দেবোত্তর সম্পত্তি যিনি পরিচালনা করে তাকে সেবাইত বলে। সেবাইত দেবত্তর সম্পত্তি হস্থান্তর করতে পারে না। ধর্মমন্ত্রালয়ের অধীনে একটি দেবোত্তর সম্পত্তি সেল আছে। উক্ত সেল থেকে এরুপ সম্পত্তির সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হয়।
ওয়াকফ সম্পত্তি হস্থান্তরঃ ধর্মীয় প্রতিষ্টান এর সুবিধার জন্য দূরবর্তী স্থানের জমি বিক্রয় নিকটবর্তীস্থানে জমি ক্রয়ের জন্য ওয়াক্ফ প্রশাসক এর পূর্বানুমতি নিয়া ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রয় করা যায়।
ওয়াকফ সম্পত্তি তালিকাভূক্তির নিয়মঃ যে কেউ ওয়াক্ফ সম্পত্তি তালিকাভূক্তির জন্য ওয়াক্ফ অধ্যাদেশ এর ৪৭ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ প্রতিষ্ঠান যেমন মাজার লাভজনক হওয়ার কারণে তার লাভজনক এড়ানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে যে কেউ তালিকাভূক্তির জন্য আবেদন করতে পারে।

Read more...

Wednesday, 11 May 2016

Natural Justice

Natural Justice:
                         ″The concept of natural justice cannot be confined to any precise definition. It is not justice in the abstract or normal sense and is not even justice according to natural Law. The essential feature of the principle of natural Justice is simply that no person shall be deprived of nay vested right by any order, Judicial or otherwise, without a hearing before an independent authority, not interested in the proceeding or in any party to the proceeding.″
31 DLR (AD) 272, Bangladesh Steamer Association Vs Bangladesh.
অর্থাৎ কোন সীদ্ধান্ত স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের নিয়ম বিরোধী হইলে তাহা ক্ষমতা বহির্ভূত হিসাবে বাতিল হয়। এই সম্পর্কে আইনের পরিভাষায় দুইটি প্রবচব আছে। প্রথমটি, পক্ষপাত বিরোধী নিয়ম অর্থাৎ বিচারকের পক্ষে নিরপেক্ষ বিচারের মান লঙ্ঘন করার বিরুদ্ধে nemo judex in cause sua অথবা nemo judex in propria cause অথবা (অর্থাৎ কোন ব্যক্তি নিজের মামলার বিচারক হইতে পারেন না)। প্রবচন হইতে উৎপত্তি। ইহার অর্থ হইতেছে কোন সিদ্ধান্তই ন্যায় হউক না কেন তা অসিদ্ধ হইবে যদি তিনি তাহা করিয়াছেন ঐ সিদ্ধান্তের ফলাফলে তাহার কোন আর্থিক বা অন্য কোন স্বার্থ থাকে অথবা জ্ঞাত কোন পক্ষপাত থাকে যাহার দ্বারা নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হয়।
দ্বিতীয় নিয়মটি, audi alterem partem(অর্থাৎ অপর পক্ষের বক্তব্য শোনা) হিসাবে পরিচিত। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন সিদ্ধান্তের দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত ব্যক্তিকে তাহার বক্তব্য বলিবার এবং অপর পক্ষের বক্তব্য জানিবার এবং তাহা খন্ডন করিবার ন্যায্য সুযোগ দেওয়া না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বলবৎযোগ্য হইবে না।
সূত্র: রীট পিটিশন নং-৯৭৯২/২০০৭ (বিচারক: মাননীয় বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন)

Read more...

Political Asylum(রাজনৈতিক আশ্রয়)

রাজনৈতিক আশ্রয় (Political Asylum) কাকে বলে ?
রাজনৈতিক আশ্রয় আন্তর্জাতিক আইনের একটি স্বীকৃত অধিকার। কোন ব্যক্তি যদি তার নিজ রাষ্ট্র থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা ধর্মিয় কর্মকান্ডের জন্য বিতাড়িত হয় তাহলে ঐ ব্যক্তি মানবিক কারণে অন্য রাষ্ট্রে প্রবেশ ও বসবাসের জন্য অনুমতি লাভ করতে পারে। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ১৯৪৮ এর অনুচ্ছেদ ১৪(ক) তে বর্ণিত হয়েছে যে, নিজ রাষ্ট্রে রাজনৈতিক বা আদর্শগত কারণে নিপীড়ন বা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির অন্য রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে।
কোন ব্যক্তি আশ্রয় প্রার্থনা করলেই তাকে আশ্রয় প্রদান করতে হবে অথবা কোন ব্যক্তি অধিকার হিসাবে এই আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারবে সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আইনে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। এই প্রকারের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন হিসাবে স্বীকৃত। আবার কোন কোন রাষ্ট্র যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি তাদের সংবিধানে রাজনৈতিক আশ্রয়কে অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। কোন ব্যক্তিকে আশ্রয় প্রদান করা রাষ্ট্রের বিবেচনার উপর নির্ভর করে এবং আশ্রয় প্রদান করলে ব্যক্তির নিরাপত্তার প্রতি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে সচেতন হতে হয়। আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুধুমাত্র থাকার অনুমতি দেয়াই যথেষ্ট নয় বরং আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তির আবাসন ও ভরণপোষণে সহায়তা প্রদান করাও সেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রকারভেদঃ আশ্রয় দুই প্রকারের হতে পারে যথা-
১) ভূখণ্ডগত আশ্রয় (Territorial Asylum)
২) অতি-রাষ্ট্রিক আশ্রয় (Diplomatic or Extra- territorial Asylum)

Read more...

Monday, 9 May 2016

নামজারি কীভাবে করবেন

নামজারি কীভাবে করবেনঃ
কোনো কারণে জমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করানোকে বলে মিউটেশন বা নামজারি। উত্তরাধিকারসূত্রে, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে জমির মালিকানা বদল হয়। কিন্তু জমির নামজারি না করানো হলে মালিকানা দাবি করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। জমি রেজিস্ট্রেশন, জমি ক্রয়-বিক্রয়, খাজনা প্রদানসহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় নামজারি। জমি হস্তান্তর হওয়ার পর নামজারি করা অনেকটাই বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কোথায় করা হয় নামজারিঃ


সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন সহকারী পদের একজন দায়িত্বে থাকেন। নাজির পদের একজন নামজারির জন্য ফি জমা নেন। তহশিলদারেরা (সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা) নামজারির তদন্তের দায়িত্বে থাকেন। কোনো আবেদন করা হলে এ নামজারি করা জমির ওপর তদন্ত করার নিয়ম আছে। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তহশিলদারের অফিসে নামজারি আবেদন করে থাকেন। এটা ঠিক নয়।


কীভাবে আবেদন করতে হয়ঃ


সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। এতে নির্ধারিত জায়গায় জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে। একই সঙ্গে মূল দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি, ভূ-উন্নয়ন কর পরিশোধের দলিল, ওয়ারিশান সনদপত্র (তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা), বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে। কোনো রায় বা ডিক্রির কারণে নামজারি করতে হলে ডিক্রি বা রায়ের অনুলিপি জমা দিতে হবে। আবেদনকারী নিজেও আবেদন করতে পারেন অথবা আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করেও আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীর প্রতিনিধির পাসপোর্ট আকারের ছবি সংযুক্ত করে দিতে হবে আবেদনের নির্ধারিত জায়গায়। খেয়াল রাখতে হবে নামজারি করাতে গিয়ে কোনো দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম করা হয়েছে।


নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হলে কী করবেনঃ


যেকোনো কারণেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হতে পারে। কোনো দলিল-দস্তাবেজে ত্রুটির কারণে হতে পারে, আবার অন্য কোনো উদ্দেশ্যেও নামঞ্জুর হতে পারে। কিন্তু আবেদন নামঞ্জুর হলে প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। নামজারি নামঞ্জুর হলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) কাছে এবং তা করতে হয় আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি আপিল বোর্ডে আদেশের ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করা যায়। এ ছাড়া রিভিশনের পথও খোলা রয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর নিজের ইচ্ছায় নথি তলব করে সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া রিভিউর পথও খোলা আছে। রিভিউ মানে হচ্ছে পুনর্বিবেচনা করা। দলিলপত্রে কোনো ভুল পর্যবেক্ষণ হয়েছে বলে মনে করলে কিংবা আবেদন বাতিল করলে রিভিউর আবেদন করতে হয়। যে কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছেন, তাঁর বরাবরই রিভিউ করতে হবে। রিভিউ করতে হয় ৩০ দিনের মধ্যে। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আর আপিল করা যায় না।


Read more...

Sunday, 8 May 2016

By showing me injustice, he taught me to love justice

“By showing me injustice, he taught me to love justice. By teaching me what pain and humiliation were all about, he awakened my heart to mercy. Through these hardships I learned hard lessons. Fight against prejudice, battle the oppressors, support the underdog. Question authority, shake up the system, never be discouraged by hard times and hard people. Embrace those who are placed last, to whom even bottom looks like up. It took me some time to find my mission in life – that of a criminal defense lawyer. But that ‘school’, and that Teacher, put me on my true path. I will never be discouraged. Even thorns and thistles can teach you something, and lead to success.”. - Roy Black.

Read more...

বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা

Lorem ipsum

Dolor sit amet

About Me

বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা © Layout By Hugo Meira.

TOPO