ওয়াকফ কি
ওয়াকফ কিঃ
কোন মুসলমান কর্তৃক ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করাকে বুঝায়। তবে কোন অমুসলিমও একই সম্পত্তি একই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে পারেন।
ওয়াকফ দুই প্রকার: ১) ওয়াকফ লিল্লাহ ও ২) ওয়াক্ফ আল-আওলাদ
যে সব উদ্দেশ্যে ওয়াকফ করা যায়:
মক্কা শরীফের হাজীদের জন্য বোরাত বা বোডিং হাইজ নির্মাণ, ঈদগাহ নির্মাণ, মাদ্রাসা, খানকা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যয় নির্বাহ, হজ্জ পালনে সাহায্য করা, গরীবদের সাহায্য করা। ওয়াকিফ ও তার বংশধর ভরন পোষণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সম্পত্তি উৎসর্গ করা যায়।
ওয়াকফের শর্তাবলী:
• ওয়াকিফকে অবশ্যই সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী ও
সাবালক হতে হবে।
• ওয়াকফের উদ্দেশ্যে যে সম্পত্তি উৎসর্গ করা
হবে তা অবশ্যই চিরস্থায়ীভাবে উৎসর্গ করতে
হবে।
• ওয়াকফের উদ্দেশ্যে অবশ্যই মুসলিম আইন
অনুযায়ী ধর্মীয় বা দাতব্য প্রকৃতির হতে হবে।
• স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উভয়ই বৈধ ওয়াকফের
বিষয়বস্তু হতে পারে।
• ওয়াকিফ যে সম্পত্তি উৎসর্গ করবেন অবশ্যই তা
বৈধ মালিকানার হতে হবে।
• ওয়াকফটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তা হস্তান্তর অযোগ্য
হয়ে যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে
মোতাওয়াল্লী আদালত বা ওয়াকফ প্রশাসকের
অনুমতিক্রমে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
অমুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক ওয়াকফ:
অমুসলিম ব্যক্তিও ওয়াকফ করতে পারবেন। কিন্তু তা
ওয়াকফ সৃস্টিকারী ব্যক্তির ধর্ম অনুসারে বৈধ বা
আইনসঙ্গত হতে হবে।এক্ষেত্রে
উৎসর্গকারীকে অবশ্যই ইসলামের মূলনীতিতে
বিশ্বাস থাকতে হবে।কিন্তু তাকে অবশ্যই মুসলিম
হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
ওয়াকফ প্রশাসক: সরকার ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৭ ধারা অনুসারে ওয়াকফ প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন কওে থাকেন।
ওয়াকফ প্রশাসক এর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
১। ওয়াকফ প্রশাসক ওয়াকফ ও এর তহবিল পরিচালনার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন কানে। তিনি এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পারন করেন। (ধারা- ১৯, ২০)
২। প্রশাসক সরকারের অনুমতিক্রমে এবং ওয়াক্ফ এর কল্যাণে/ উন্নতিকল্পে ওয়াক্ফকৃত সম্পত্তি হস্থান্তর করতে পারে।(ধারা-৩৩)
৩। প্রশাসক উপযুক্ত কারন সাপেক্ষে মোতায়াল্লীকে অপসারন করতে পারেন।(ধারা-৩২)
৪। প্রশাসক তার প্রতিনিধির মাধ্যমে বা জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। (বাস্তব্যে জেলা প্রশাসকই ওয়াক্ফ প্রশাসকের পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।(ধারা- ৩৪, ৩৬)
৫। ওয়াক্ফ প্রশাসকের কোন আদেশে কেউ সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি জেলা জজের আদালতে আপিল করতে পারেন। (ধারা- ৩৫)
মোতায়াল্লী নিয়োগ:
ওয়াক্ফ পরিচালার জন্য গঠিত কমিটির সদস্য সচিবের বা ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় যিনি থাকেন তাকেই বলে মোতায়াল্লি। মোতায়াল্লি সাবালক ও মানসিকভাকে সুস্থ হবেন।
মোতায়াল্লী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিম্নরুপ:
ওয়াকিফ নিজে মোতাল্লী হতে পারেন।ওয়াকিফ সম্পত্তির সুবিধাভোগী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক মোননীত হতে পারেন।
ওয়াকিফের মৃত্যুকালীন ঘোষণা দ্বারাও কোন ব্যক্তি মোতায়াল্লী হতে পারেন।
আধ্যাত্মিক কার্যক্রম না থাকলে মাহিলাও মোতায়াল্লী নিযুক্তি হতে পারবেন।
প্রশাসক মোতায়াল্লী নিয়োগ করতে পারেন।
কোন মুসলমান কর্তৃক ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করাকে বুঝায়। তবে কোন অমুসলিমও একই সম্পত্তি একই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে পারেন।
ওয়াকফ দুই প্রকার: ১) ওয়াকফ লিল্লাহ ও ২) ওয়াক্ফ আল-আওলাদ
যে সব উদ্দেশ্যে ওয়াকফ করা যায়:
মক্কা শরীফের হাজীদের জন্য বোরাত বা বোডিং হাইজ নির্মাণ, ঈদগাহ নির্মাণ, মাদ্রাসা, খানকা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যয় নির্বাহ, হজ্জ পালনে সাহায্য করা, গরীবদের সাহায্য করা। ওয়াকিফ ও তার বংশধর ভরন পোষণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সম্পত্তি উৎসর্গ করা যায়।
ওয়াকফের শর্তাবলী:
• ওয়াকিফকে অবশ্যই সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী ও
সাবালক হতে হবে।
• ওয়াকফের উদ্দেশ্যে যে সম্পত্তি উৎসর্গ করা
হবে তা অবশ্যই চিরস্থায়ীভাবে উৎসর্গ করতে
হবে।
• ওয়াকফের উদ্দেশ্যে অবশ্যই মুসলিম আইন
অনুযায়ী ধর্মীয় বা দাতব্য প্রকৃতির হতে হবে।
• স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উভয়ই বৈধ ওয়াকফের
বিষয়বস্তু হতে পারে।
• ওয়াকিফ যে সম্পত্তি উৎসর্গ করবেন অবশ্যই তা
বৈধ মালিকানার হতে হবে।
• ওয়াকফটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তা হস্তান্তর অযোগ্য
হয়ে যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে
মোতাওয়াল্লী আদালত বা ওয়াকফ প্রশাসকের
অনুমতিক্রমে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
অমুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক ওয়াকফ:
অমুসলিম ব্যক্তিও ওয়াকফ করতে পারবেন। কিন্তু তা
ওয়াকফ সৃস্টিকারী ব্যক্তির ধর্ম অনুসারে বৈধ বা
আইনসঙ্গত হতে হবে।এক্ষেত্রে
উৎসর্গকারীকে অবশ্যই ইসলামের মূলনীতিতে
বিশ্বাস থাকতে হবে।কিন্তু তাকে অবশ্যই মুসলিম
হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
ওয়াকফ প্রশাসক: সরকার ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৭ ধারা অনুসারে ওয়াকফ প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন কওে থাকেন।
ওয়াকফ প্রশাসক এর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
১। ওয়াকফ প্রশাসক ওয়াকফ ও এর তহবিল পরিচালনার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন কানে। তিনি এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পারন করেন। (ধারা- ১৯, ২০)
২। প্রশাসক সরকারের অনুমতিক্রমে এবং ওয়াক্ফ এর কল্যাণে/ উন্নতিকল্পে ওয়াক্ফকৃত সম্পত্তি হস্থান্তর করতে পারে।(ধারা-৩৩)
৩। প্রশাসক উপযুক্ত কারন সাপেক্ষে মোতায়াল্লীকে অপসারন করতে পারেন।(ধারা-৩২)
৪। প্রশাসক তার প্রতিনিধির মাধ্যমে বা জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। (বাস্তব্যে জেলা প্রশাসকই ওয়াক্ফ প্রশাসকের পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।(ধারা- ৩৪, ৩৬)
৫। ওয়াক্ফ প্রশাসকের কোন আদেশে কেউ সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি জেলা জজের আদালতে আপিল করতে পারেন। (ধারা- ৩৫)
মোতায়াল্লী নিয়োগ:
ওয়াক্ফ পরিচালার জন্য গঠিত কমিটির সদস্য সচিবের বা ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় যিনি থাকেন তাকেই বলে মোতায়াল্লি। মোতায়াল্লি সাবালক ও মানসিকভাকে সুস্থ হবেন।
মোতায়াল্লী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিম্নরুপ:
ওয়াকিফ নিজে মোতাল্লী হতে পারেন।ওয়াকিফ সম্পত্তির সুবিধাভোগী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক মোননীত হতে পারেন।
ওয়াকিফের মৃত্যুকালীন ঘোষণা দ্বারাও কোন ব্যক্তি মোতায়াল্লী হতে পারেন।
আধ্যাত্মিক কার্যক্রম না থাকলে মাহিলাও মোতায়াল্লী নিযুক্তি হতে পারবেন।
প্রশাসক মোতায়াল্লী নিয়োগ করতে পারেন।
ওয়াকফ প্রত্যাহার : উইলের মাধ্যমে ওয়াক্ফ সৃষ্টি হয়ে থাকলে ওয়াকিফ তার মৃত্যুর পূর্বে যে কোন সময় তা প্রত্যাহর করতে পারেন। তবে ইউল ব্যতিত অন্য কোন ক্ষেত্রে ওয়াক্ফি ওয়াক্ফ সম্পত্তি প্রত্যাহার করতে পারেন না।
ওয়াকফ করা বাধ্যতামূলক: মোহামেডনস ল অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে ঈদগাহ, কবরস্থান, ইমামবাড়ী, মাদ্রাসা ও মসজিদের জন্য জমি দান করলে তা অবশ্যই ওয়াক্ফ করতে হবে। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন মন্দিরের দেবতার উদ্দেশ্যে পূর্ণ অর্জনের লক্ষে যে সম্পত্তি উঃসর্গ করে তাকে দেবোত্তর সম্পত্তি। দেবোত্তর সম্পত্তি যিনি পরিচালনা করে তাকে সেবাইত বলে। সেবাইত দেবত্তর সম্পত্তি হস্থান্তর করতে পারে না। ধর্মমন্ত্রালয়ের অধীনে একটি দেবোত্তর সম্পত্তি সেল আছে। উক্ত সেল থেকে এরুপ সম্পত্তির সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হয়।
ওয়াকফ করা বাধ্যতামূলক: মোহামেডনস ল অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে ঈদগাহ, কবরস্থান, ইমামবাড়ী, মাদ্রাসা ও মসজিদের জন্য জমি দান করলে তা অবশ্যই ওয়াক্ফ করতে হবে। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন মন্দিরের দেবতার উদ্দেশ্যে পূর্ণ অর্জনের লক্ষে যে সম্পত্তি উঃসর্গ করে তাকে দেবোত্তর সম্পত্তি। দেবোত্তর সম্পত্তি যিনি পরিচালনা করে তাকে সেবাইত বলে। সেবাইত দেবত্তর সম্পত্তি হস্থান্তর করতে পারে না। ধর্মমন্ত্রালয়ের অধীনে একটি দেবোত্তর সম্পত্তি সেল আছে। উক্ত সেল থেকে এরুপ সম্পত্তির সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হয়।
ওয়াকফ সম্পত্তি হস্থান্তরঃ ধর্মীয় প্রতিষ্টান এর সুবিধার জন্য দূরবর্তী স্থানের জমি বিক্রয় নিকটবর্তীস্থানে জমি ক্রয়ের জন্য ওয়াক্ফ প্রশাসক এর পূর্বানুমতি নিয়া ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রয় করা যায়।
ওয়াকফ সম্পত্তি তালিকাভূক্তির নিয়মঃ যে কেউ ওয়াক্ফ সম্পত্তি তালিকাভূক্তির জন্য ওয়াক্ফ অধ্যাদেশ এর ৪৭ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ প্রতিষ্ঠান যেমন মাজার লাভজনক হওয়ার কারণে তার লাভজনক এড়ানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে যে কেউ তালিকাভূক্তির জন্য আবেদন করতে পারে।
Post a Comment